কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র। অন্যান্য যন্ত্র যেমন: রেডিও, টেলিভিশন, ভিসিআর, ইলেকট্রিক ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, ফ্যাক্স ইত্যাদি থেকে কম্পিউটার সম্পূর্ন ভিন্ন এক যন্ত্র। এর কাজের ক্ষমতা সত্যিই আশ্চর্যজনক। বর্তমান বিশ্বে এ যন্ত্রটিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সফলতার শীর্ষে পৌছে যাচ্ছে। অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সাহায্যে দুই একটির বেশি কাজ করানো যায় না। কিন্তু একটি মাত্র কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক রকমের কাজ করা যায়। কম্পিউটার (ঈড়সঢ়ঁঃবৎ) শব্দটি গ্রীক কম্পিউট (ঈড়সঢ়ঁঃব) শব্দ থেকে এসেছে। ঈড়সঢ়ঁঃবৎ শব্দের অর্থ হচ্ছে গননা করা। সুতরাং ঈড়সঢ়ঁঃবৎ মানে গননাকারী যন্ত্র।
পূর্বে কম্পিউটার দিয়ে শুধুমাত্র হিসাব-নিকাশের কাজই করা হতো। কিন্তু বর্তমানে অত্যাধুনিক সব কম্পিউটার দিয়ে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে জটিল হিসাব-নিকাশের কাজ নির্ভুলভাবে করা ছাড়াও অনেক রকমের কাজ করা যায়। কম্পিউটার সেকেন্ডের মধ্যে কোটি কোটি হিসাব-নিকাশ করতে পারে। কম্পিউটারে কাজ করার গতি হিসাব করা হয় ন্যানোসেকেন্ডে (ঘঝ) এ। ন্যানোসেকেন্ড হচ্ছে এক সেকেন্ডের একশত কোটি ভাগের এক ভাগ সময় মাত্র। কম্পিউটারের অভ্যন্তরের রয়েছে অনেক বর্তনী। ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালিত হয়। ইলেকট্রনিক সংকেতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ বা কম্পিউটার ভাষা। কম্পিউটারের বোধগম্য এ ভাষার মাধ্যমে কম্পিউটারে যে নির্দেশ দেয়া হয় তারই ভিত্তিতে কম্পিউটার কাজ করে ফলাফল প্রদান করে। কম্পিউটারের এ নির্দেশাবলিকে বলা হয় প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ছাড়া কম্পিউটার একটি জড় পদার্থ ভিন্ন আর কিছু নয়। উপযুক্ত প্রোগ্রামের ফলে কম্পিউটার জড় পদার্থ হতে গানিতিক শক্তিসম্পন্ন বুদ্ধিমান যন্ত্রে পরিনত হতে পারে।
0 comments:
Post a Comment