Tuesday, March 29, 2016

আকার, আয়তন, আকৃতি এবং ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে শ্রেনীবিভাগ

আকার, আয়তন ও আকৃতি এবং ক্ষমতার ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায় -   
১. সুপার কম্পিউটার ।
২. মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
৩. মিনি - কম্পিউটার।
৪. মাইক্রো - কম্পিউটার বা পারসোনাল কম্পিউটার।

১) সুপার কম্পিউটার (Super Computer)
সুপার কম্পিউটার হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী, দ্রুতগতি সম্পন্ন ব্যয়বহুল কম্পিউটার। আকৃতিগত দিক হতে সবচেয়ে বড় আকৃতির এ শ্রেণীর কম্পিউটার গুলোর তথ্য সংরক্ষন ক্ষমতা, কার্য সম্পাদনের বা তথ্য প্রক্রিয়াকরনের দ্রুততা অবিশ্বাস্য রকমের। সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও জটিল বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষনকাজ করা যায়। বর্তমানে ব্যবহৃত সুপার কম্পিউটার গুলোতে একসঙ্গে একাধিক প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষনা, বিপুল পরিমান তথ্য বিশ্লেষন, নভোযান, জঙ্গি বিমান এবং ক্ষেপনাস্ত্র নিয়ন্ত্রন, মহাকাশ গবেষনা, পরমাণু গবেষনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
আমেরিকা ও জাপানের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান সুপার কম্পিউটার তৈরি করে। এদের মধ্যে আমেরিকার Cray Research Inc, Data Control Corporation  এবং জাপানের Nippon Electric Company  এর নাম উল্লেখযোগ্য। CRAY – 1, CYBER – 205 ইত্যাদি সুপার কম্পিউটারের উদাহরন।

২) মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer
মেইনফ্রেম হচ্ছে এমন একটি বড় কম্পিউটার যার সাথে টারমিনাল  (নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটার) যুক্ত করে এক সাথে অনেক মানুষ কাজ করতে পারে। এ কম্পিউটারে একাধিক প্রক্রিয়াকরণ অংশ থাকে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। যেমন ব্যাংক, বীমা, অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান, বৈজ্ঞানিক গবেষনার পরিচালনা নিয়ন্ত্রন ও বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য মেইনফ্রেম কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৬৫ সালে পরমাণু শক্তি কমিশনে মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট কোম্পানি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হয়। UNIVAC 1100/01, IBM 4341, NCR N 8370 ইত্যাদি কম্পিউটার এ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।

৩) মিনি কম্পিউটার (Mini Computer
মিনি - কম্পিউটারকে মিনি - ফ্রেম কম্পিউটারও বলা হয়। মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে ছোট আকারের এ কম্পিউটার টার্মিনালের মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে। এর কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন অংশের জন্য সাধারনত এক বোর্ড বিশিষ্ট বর্তনী ব্যবহৃত হয়। বড় আকারের শিল্প ও গবেষনা প্রতিষ্ঠানে মিনি - কম্পিউটারের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। ব্যংকিং কার্যক্রমে এ ধরনের কম্পিউটারের সচারাচার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। PDPII, IBM, S/34, NCR, S/9290 ইত্যাদি মিনি কম্পিউটারের উদাহরন।

৪) মাইক্রোকম্পিউটার (Microcomputer
মাইক্রোকম্পউটার হচ্ছে মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে সর্বাপেক্ষা বহুল ব্যবহৃত কম্পিউটার। সাধারনত একজন লোক একটি কম্পিউটার ব্যবহার করে বলে মাইক্রোকম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলা হয়। এ জাতীয় কম্পিউটার সহজে বহনযোগ্য, দাম তুলনামূলকভাবে কম এবং রক্ষনাবেক্ষনও সহজ হওয়ার ফলে ব্যবহাকারীদের মাঝ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, দাপ্তরিক, সরকারি, সর্বোপরি বিনোদনমূলক কর্মকান্ডে এ ধরনের কম্পিউটার গুলোর ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। IBM PC, APPLE Macintosh ইত্যাদি মাইক্রোকম্পিউটারের উদাহরন। প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতির সাথে সাথে মাইক্রোকম্পিউটারের আকৃতিতে নানা রকম পরিবর্তন হয়েছে। মানষের ব্যবহারিক সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন আকৃতিতে মাইক্রোকম্পিউটার বাজারে এসেছে। যেমন -  
১. ডেস্কটপ কম্পিউটার।
২. ল্যপটপ কম্পিউটার।
৩. নোটবুক কম্পিউটার।

(১) ডেস্কটপ কম্পিউটার (Desktop Computer
ডেস্কে বা টেবিলে স্থাপন করে যে মাইক্রোকম্পিউটার ব্যবহার করা যায় তাকে ডেস্কটপ কম্পিউটার বলে। বিভিন্ন রকম কাজে অফিস Ñ আদালতে এ জাতীয় কম্পিউটার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

(২) ল্যাপটপ কম্পিউটার (Laptop Computer)
সহজে বহনযোগ্য এ ধরনের কম্পিউটার গুলোর বহ্যিক আকার ব্রিফকেসের মতো। ল্যাপ (খধঢ়) অর্থ হলো কোলের উপরে। কোলের উপরে রেখে ব্যবহার করা যায় বলে একে ল্যাপটপ কম্পিউটার বলে। বর্তমানে ল্যাপটপ কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা পারসোনাল কম্পিউটার বা ডেস্কটপ কম্পিউটারের সমতুল্য বলা চলে।

(৩) নোটবুক কম্পিউটার (Notebook Computer
নোটবুকের মত ছোট আকৃতির ও হাতে রেখে ব্যবহার করা যায় বলে এ কম্পিউটার গুলোকে নোটবুক কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটার গুলোর আকার নোটবুকের মত।

কাজের ধরন ও প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে শ্রেনীবিভাগ

কাজের ধরন ও প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় -   
১. এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer)
২. ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer)
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer)

এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer)
Analogy একটি ইংরেজি শব্দ। Analogy থেকে এনালগ কথাটি এসেছে, এনালগ কথার অর্থ হচ্ছে সাদৃশ্য। এনালগ কম্পিউটার কাজ করে এনালগ সংকেত ব্যবহার করে। এনালগ সংকেতের বৈশিষ্ঠ্য হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ওঠা-নামা করা। এই সংকেত কোন আদর্শমানের সাথে তুলনামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করে। যেমন থার্মোমিটারে সরু কাচের নলের মধ্যে পারদের ওঠা-নামার উপর নির্ভর করে উষ্ণতা পরিমাপ করা হয়। এর অর্থ হলো উষ্ণতার ওঠা-নামার সঙ্গে পারদের ওঠা-নামার যে সাদৃশ্য বা সম্পর্ক থার্মোমিটার সেটাই কাজে লাগায়।

ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer)
প্রচলিত অর্থে কম্পিউটার বলতে ডিজিটাল কম্পিউটারকেই বোঝানো হয়ে থাকে। ডিজিট (উরমরঃ) শব্দ থেকে ডিজিটাল শব্দটি এসেছে। ডিজিটাল কম্পিউটারে বর্ণ, সংখ্যা, সংকেত, প্রতীক ইত্যাদি ইনপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডিজিটাল কম্পিউটার মূলত গানিতিক ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং খুব সূক্ষ্ম ও নির্ভুল ফলাফল প্রদান করতে সক্ষম।

হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer)
এনালগ ও ডিজিটাল দুই শ্রেণীর কম্পিউটারের প্রযুক্তির সমন্বয়ে মিশ্র প্রযুক্তিতে তৈরি কম্পিউটারকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে। বিশেষ ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রমে যেক্ষেত্রে এনালগ ও ডিজিটাল সংকেত পদ্ধতির মিশ্র উপস্থিতি বিদ্যমান সেক্ষেত্রে এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। হাইব্রিড কম্পিউটারে এনালগ প্রক্রিয়ায় উপাত্ত সংগৃহীত হয় এবং সংগৃহীত উপাত্ত সংখ্যায় রুপান্তরিত করার পরে তা ডিজটাল অংশে প্রেরন করে। কম্পিউটারের ডিজিটাল অংশ প্রাপ্ত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরন করে এবং ফলাফল প্রদান করে। হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে এনালগ অংশ রোগীর রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া, শরীরের তাপমাত্রা ইত্যাদি উপাত্ত গ্রহন করে এবং ডিজিটাল অংশে ব্যবহার করার জন্য যথাযোগ্য সংখ্যা ও সংকেতে রুপান্তর করে তা ডিজিটাল অংশে প্রেরন করে। ডিজিটাল অংশ প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে রোগীর অবস্থা প্রকাশ করে।


কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র। এর অর্থ হলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। ইলেক্ট্রনিক আরো অনেক যন্ত্র আছে। কিন্তু কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য যা কম্পিউটারকে অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে আলাদা করেছে। উল্লেখযোগ্য দশটি বৈশিষ্ট্য হলো -   
১)দ্রুতগতি (High Speed) ২) নির্ভুলতা (Correctness)
৩) সূক্ষতা (Accuracy) ৪) বিশ্বাসযোগ্যতা (Reliability
৫) ক্লান্তিহীনতা (Diligence) ৬) স্মৃতিশক্তি (Memory
৭) স্বয়ংক্রিয়তা (Automation) ৮) যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত (Logical Decision)  
৯) বহুমুখিতা (Versatility) ১০) অসীম জীবনীশক্তি (Endless Life)
উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কারনেই উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর উন্নয়নের পেছনে কম্পিউটারের ভ’মিকাকে সব থেকে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হয়। উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও বর্তমানে কম্পিউটারের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। নি¤েœ কম্পিউটারের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ঠ্যগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১) দ্রুতগতি (High Speed)
বৈদ্যুতিক বাল্বের সুইচ অন করা মাত্রই বাল্ব জ্বলে ওঠে। কারন বিদ্যুতের গতি অন্যান্য যেকোন বস্তুর গতির চেয়ে অনেক অনেক বেশি। বিদ্যুতের গতিতে আমাদের পৃথিবীকে পরিভ্রমন করলে এক সেকেন্ড সারে সাতবার পরিভ্রমন করা সম্ভব। কম্পিউটারের গতিও হচ্ছে বিদ্যুতের গতি। কম্পিউটার কাজ করে বৈদ্যুতিক সিগন্যালের মাধ্যমে আর তাই আধুনিক কম্পিউটার ২ (দুই) কোটি যোগ করতে সময় ব্যবহার করে মাত্র ১ সেকেন্ড। দ্রুতগতি কম্পিউটারের অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি। কম্পিউটার একটি নির্দেশ সম্পন্ন করতে ১ ন্যানোসেকেন্ড সময় ব্যবহার করে। ১ সেকেন্ডর ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে ১ ন্যানোসেকেন্ড। তোমাদের বোঝার সুবিধার জন্য সেকেন্ডের ভগ্নাংশের একটি টেবিল নিচে দেয়া হলো -   

১ মিলি (গরষর) সেকেন্ডে = ১/১০০০ সেকেন্ড
১ মাইক্রো (গরপৎড়) সেকেন্ড = ১/১০০০০০০ সেকেন্ড
১ ন্যানো (ঘধহড়) সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০ সেকেন্ড
১ পিকো (চরপড়) সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০০০০ সেকেন্ড
১ফেম্টো (ঋধসঃড়) সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০০০০০০০ সেকেন্ড
এ্যাটো (অঃঃড়) সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০০০০০০০০০০ সেকেন্ড

দ্রুতগতির কারনে কম্পিউটার ১ (এক) ঘন্টায় যে পরিমান হিসাব-নিকাশের কাজ করতে পারবে একজন মানুষ তার ১০০ বছরের কর্মময় জীবনেও তার সমপরিমান কাজ করতে পারবে না।
২) নির্ভুলতা (Correctness
কম্পিউটার একটি মেশিন। মানুষের দেয়া সূত্র ও যুক্তির মাধ্যমে ফলাফল প্রদান করে। মানুষ তার নিজের আবিস্কার করা সূত্র ব্যবহার করতে যেয়ে ভুল করতে পারে। কিন্তু কম্পিউটার কখনও ভুল করে না। কম্পিউটারের নির্ভুলতা শতকরা ১০০ ভাগ।
৩) সূক্ষ্মতা (Accuracy)
কম্পিউটারের স্মৃতিশক্তি আছে। তাই অনেক ঘর পর্যন্ত নির্ভুলভাবে গানিতিক ক্রিয়াকলাপ করতে পারে। এই কারনে কম্পিউটারের সূক্ষ্মতা অনেক বেশি ধরে নেয়া যায়। দ্রুতগতি ও সূক্ষ্মতা এই দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্টের কারনে পর্যবেক্ষনমূলক গবেষনার কাজে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়। যেমন পারমানবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরনে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া পর্যবেক্ষন ও বিশ্লেষন করা হয়।
৪) বিশ্বাসযোগ্যতা (Reliability
কম্পিউটার নির্ভুল ও সূক্ষ্মভাবে কাজ করে। কাজ করার জন্য কম্পিউটার মানুষের আবিস্কার করা সূত্র ও মানুষের দেয়া নির্দেশ ব্যবহার করে। তবে মানুষ যদি ভুল সূত্র ব্যবহার করে ও ভুল নির্দেশ দেয় তবে কম্পিউটার ভুল উত্তর তৈরি করে থাকে। এই দোষ কিন্তু কম্পিউটারের নয়। যে ব্যক্তি কম্পিউটারকে ভুলভাবে নির্দেশনা দেয় দোষটি মূলত তারই। ইংরেজিতে কম্পিউটারের ভুল ফলাফল দেয়াকে বলে গার্বেজ ইন গার্বেজ আউট (এধৎনধমব ওহ এধৎনধমব ঙঁঃ) বা জিগো (এওএঙ)।
৫) ক্লান্তিহীনতা (Diligence
কম্পিউটার একটি যন্ত্র। আর যন্ত্রের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ক্লান্তিহীনতা। পুনরাবৃত্তিমূলক কাজে বা সাধারন কোন নিয়মিত কাজে কম্পিউটার রাত দিন ক্লান্তিহীন, বিরক্তিহীন এবং বিশ্রামহীনভাবে কাজ করতে পারে। কম্পিউটারের কোন আবেগ নেই। তাই কাজ করতে তার মনোযোগ, সহিষ্ণুতায় ভাটা পরে না। শিল্পক্ষেত্রে কিংবা পর্যবেক্ষনমূলক কাজে এই কারনেই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
৬) স্মৃতিশক্তি (Memory
কম্পিউটারের নিজস্ব স্মৃতিশক্তি আছে।একে ইংরেজিতে মেমোরি (গবসড়ৎু) বলে। প্রোগ্রামারগণ কম্পিউটার কি করে কাজ করবে তার নির্দেশ কম্পিউটারের স্মৃতিতে সংরক্ষন করে দেন। কাজ করার সময় এখান থেকে ধারাবাহিকভাবে নির্দেশ তুলে নিয়ে কম্পিউটার কাজ করে। কম্পিউটার দিয়ে কাজ করানোর জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা কম্পিউটারের স্মৃতিতে সংরক্ষন করে রাখা হয়। প্রক্রিয়াজাত ডেটা ও ফলাফলও স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকে। অপ্রয়োজনীয় তথ্য স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা যায়।
৭) স্বয়ংক্রিয়তা (Automation
কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। এই কারনে ঝুকিপূর্ন কাজে মানুষের পরিবর্তে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কল-কারখানায়, বিস্ফোরক গবেষনায় কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। পূর্ব থেকে যেহেতু কম্পিউটারে নির্দেশ সংরক্ষন করে দেয়া থাকে তাই কাজ করার সময় একটির পর একটি নির্দেশের আলোকে স্বয়ংক্রিযভাবে কম্পিউটার কাজ করতে পারে।
৮) যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত (Logical Decision
কম্পিউটারকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবস্থা বিচার করে কি কাজ করতে হবে তার আগাম নির্দেশ দিয়ে রাখলে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহনের বিভিন্ন কাজ নিজে নিজে করতে পারে। তবে নিজে থেকে কম্পিউটার কোন মৌলিক চিন্তাশক্তির অধিকারী নয়। মানুষের দেয়া উন্নত সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটার যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। 
৯) ব্যবহারের বহুমুখিতা (Versatility
বহুমুখী কাজে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা যায়। এর কারন হচ্ছে কম্পিউটার একাট প্রোগ্রাম নির্ভর যন্ত্র। যখন যেই প্রোগ্রাম কম্পিউটারে লোড করা থাকে সেই প্রোগ্রাম অনুসরণ করে কম্পিউটার কাজ করতে পারে। এই কারনে একটি কম্পিউটারে যেমন হিসাব-নিকাশের প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশ করা যায় আবার মাল্টিমিডিয়া সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ছবি দেখা যায় বা গান শোনা যায়। এরকম বিবিধ কাজ কম্পিউটার করতে পারে।
১০) অসীম জীবনীশক্তি (Endless Life)
কম্পিউটার চালানো হয় প্রোগ্রাম ব্যবহার করে। প্রোগ্রাম তৈরি করেন প্রোগ্রামার ও বিজ্ঞানীগণ। মানুষের জীবনের যেমন একটি নির্দিষ্ট সময় আছে কিন্তু প্রোগ্রামের কোন নির্দিষ্ট জীবনসীমা নেই। মানুষের তৈরি প্রোগ্রাম বছরের পর বছর সামান যোগ্যতায় একই মান এ কাজ করে যেতে পারে। হার্ডওয়্যারের একটি নির্দিষ্ট জীবনসীমা আছে। কিন্তু সফ্টওয়্যারের জীবন অসীম।


কম্পিউটার মূলত কি কাজ করে?

কম্পিউটার কাজ করে গুরুত্বপূর্ন চারটি ধাপে। ধাপগুলো হলো সংগ্রহ, সংরক্ষন, প্রসেস ও আউপুট। ধাপগুলো নিয়ে নি¤েœ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:-
সংগ্রহ: কম্পিউটার বিবিধ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রোগ্রামারদের (চৎড়মৎধসসবৎ) তৈরি প্রোগ্রাম ও সমস্যা সমাধানের নিয়ামক হিসেবে ব্যবহারকারীর (টংবৎ) প্রদত্ত উপাত্ত সংগ্রহ করে থাকে। মানুষ যেমন হাত, পা, চোখ, কান ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করে কম্পিউটার তেমনি ইনপুট ডিভাউস যেমন কী বোর্ড, মাউস ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। একে ইনপুট বলে।
সংরক্ষন: সংগৃহীত উপাত্ত ও প্রোগ্রামকে কম্পিউটার তার নিজস্ব স্মৃতিভান্ডারে সংরক্ষন করে রাখে।
প্রসেস: প্রোগ্রামে নির্দেশিত নির্দেশনার ভিত্তিতে উপাত্তের উপর গানিতিক ও যৌক্তিক বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রসেসিংকরে থাকে।
আউটপুট: ব্যবহারকারীকে প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে প্রসেসিং করা উপাত্তকে কম্পিউটার আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে প্রদর্শন করে।

কম্পিউটার কি?

কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র। অন্যান্য যন্ত্র যেমন: রেডিও, টেলিভিশন, ভিসিআর, ইলেকট্রিক ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, ফ্যাক্স ইত্যাদি থেকে কম্পিউটার সম্পূর্ন ভিন্ন এক যন্ত্র। এর কাজের ক্ষমতা সত্যিই আশ্চর্যজনক। বর্তমান বিশ্বে এ যন্ত্রটিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সফলতার শীর্ষে পৌছে যাচ্ছে। অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সাহায্যে দুই একটির বেশি কাজ করানো যায় না। কিন্তু একটি মাত্র কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক রকমের কাজ করা যায়। কম্পিউটার (ঈড়সঢ়ঁঃবৎ) শব্দটি গ্রীক কম্পিউট (ঈড়সঢ়ঁঃব) শব্দ থেকে এসেছে। ঈড়সঢ়ঁঃবৎ শব্দের অর্থ হচ্ছে গননা করা। সুতরাং ঈড়সঢ়ঁঃবৎ মানে গননাকারী যন্ত্র।
পূর্বে কম্পিউটার দিয়ে শুধুমাত্র হিসাব-নিকাশের কাজই করা হতো। কিন্তু বর্তমানে অত্যাধুনিক সব কম্পিউটার দিয়ে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে জটিল হিসাব-নিকাশের কাজ নির্ভুলভাবে করা ছাড়াও অনেক রকমের কাজ করা যায়। কম্পিউটার সেকেন্ডের মধ্যে কোটি কোটি হিসাব-নিকাশ করতে পারে। কম্পিউটারে কাজ করার গতি হিসাব করা হয় ন্যানোসেকেন্ডে (ঘঝ) এ। ন্যানোসেকেন্ড হচ্ছে এক সেকেন্ডের একশত কোটি ভাগের এক ভাগ সময় মাত্র। কম্পিউটারের অভ্যন্তরের রয়েছে অনেক বর্তনী। ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালিত হয়। ইলেকট্রনিক সংকেতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ বা কম্পিউটার ভাষা। কম্পিউটারের বোধগম্য এ ভাষার মাধ্যমে কম্পিউটারে যে নির্দেশ দেয়া হয় তারই ভিত্তিতে কম্পিউটার কাজ করে ফলাফল প্রদান করে। কম্পিউটারের এ নির্দেশাবলিকে বলা হয় প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ছাড়া কম্পিউটার একটি জড় পদার্থ ভিন্ন আর কিছু নয়। উপযুক্ত প্রোগ্রামের ফলে কম্পিউটার জড় পদার্থ হতে গানিতিক শক্তিসম্পন্ন বুদ্ধিমান যন্ত্রে পরিনত হতে পারে।

Sunday, March 27, 2016

ইন্টারনেটের ব্যবহার

শুরুতে তথ্যের আদান-প্রদান করার জন্য ইন্টারনেটের জন্ম হলেও যতই দিন যাচ্ছে ইন্টারনেটের ব্যবহারের বহুমুখিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বিস্তৃত হচ্ছে। বর্তমানে এটি কেবল গবেষনাকর্ম বা সরকারী কর্মকান্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সমাজের সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য ইন্টারনেট এখন উন্মক্ত। বানিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার ইন্টারনেটকে নতুন মাত্রা প্রদান করেছে। যে কোন ধরনের ব্যবসায়িক যোগাযোগ কিংবা বিজ্ঞাপনের জন্য ইন্টারনেটকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এমন প্রতিষ্ঠান খুজে পাওয়া যাবে না। যা ইন্টরনেটের সাথে সম্পৃক্ত নয় । 
ইন্টারনেটের ব্যবহারঃ 

তথ্যের আদান-প্রদানঃ বর্তমানে ইন্টারনেট তথ্যের আদান-প্রদানের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ই-মেইলের মাধ্যমে নিমিষেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে নূন্যতম ব্যয়ে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। ইন্টারনেট টেলিফোন ও ফ্যক্সের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 

তথ্য আহরনঃ পৃথিবীর যেকোনো বিষয়ের উপর চলতি তথ্যাবলি বর্তমানে ইন্টারনেটে ধারণ করার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। ব্যবহারকরী ব্রাউজিং করে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি কম্পিউটার পর্দায় প্রদর্শন করতে পারেন কিংবা নিজের কম্পিউটারে সংরক্ষন বা প্রিন্ট করতে পারেন। কোনো বিষয়ের উপর তথ্যাবলি আহরণ করতে চাইলে সার্চ ইঞ্জিন এর সহয়তা নেয়া যায়। 

শিক্ষার ক্ষেত্রেঃ আজকাল ইন্টারনেট জ্ঞান অর্জনের মহাসমুদ্রে পরিনত হয়েছে। জীবনের যেকোনো প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক তথ্য ইন্টারনেট থেকে আহরন করে জ্ঞানার্জন করা যায়। অন-লাইনে যেকোনো লাইব্রেরি থেকে কিংবা অনলাইনে অবস্থিত যেকোন পুস্তক অধ্যয়ন করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়ে যেকোনো করসপন্ডেন্স কোর্স করা যায়। 

অনলাইন মিডিয়ঃ আজকাল পত্রপত্রিকা কাগজে প্রকাশনার পাশাপাশি অনলাইনেও প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি অনলাইন ব্রডকাস্টিংয়ের কথাও শোনা যাচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন টেলিভিশন দেখার সুযোগও রয়েছে। 

বিনোদনঃ বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। আজকাল অনেকেই অনলাইনে রেডিও, টেলিভিশন, সিনেমা, ম্যাগাজিন ইত্যাদি থেকে বিনোদন গ্রহন করে থাকেন। ইন্টারনেট রিলে চ্যাট (IRC) দিয়ে জমিয়ে আড্ডা দিয়ে থাকেন। আরো বিভিন্ন রকম ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে বিনোদনের স্বাদ গ্রহন করার অবকাশ রয়েছে। 

বানিজ্যিকঃ ব্যবসায়-বানিজ্যের  প্রসারের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করছে। ইন্টারনেট এক দিকে যেমন ব্যবসায়িক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, অন্যদিকে পণ্যের বিপণন ও বিজ্ঞাপনের জন্য বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ওয়েব পেইজে একটি বিজ্ঞাপন নিমিষেই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়া যায়। 

Saturday, March 19, 2016

ইন্টারনেটের ধারনা

ইন্টানেট হলো পৃথিবিী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারের সাথে ভিন্ন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ইন্টানেটওয়ার্কিং বলা হয়। সে অনুযায়ী ইন্টারনেটকে নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বা ইন্টানেটওয়ার্কও বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেকগুলো নেটওয়ার্কের সমন্বিত ব্যবস্থাই ইন্টারনেট। ইন্টারনেট বর্তমান বিশ্বের গতিময়তার মাইলফলক। এটি তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার। যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদানের এটি একটি অন্যতম মাধ্যম। ইন্টারনেট দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তথ্য সঞ্চালন ও আহরন করা যায়। নিত্য নতুন উদ্ভাবনের ফলে দিন দিন ইন্টারনেটের সুযোগ সুবিধা এবয় তথ্যের সমারোহ বেড়ে চলেছে। আরপানেট (Arpanet- Advanced Research Projects Administration Network) দিয়ে ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু। 1969 সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেল্স এর UCLA ল্যাবরেটরিতে আরপানেটের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রথম কম্পিউটার যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হয়। এরপর 5 ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ একটি গবেষনা প্রকল্পের আওতায় লস এঞ্জেল্স, মেনলো পার্ক, সান্তা বারবারা, ও উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কের আওতায় এনে আরপানেটের অফিসিয়াল উদ্ভোধনী ঘোষনা করে। প্রাথমিক অবস্থায় গবেষনা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এ নেটওয়ার্কের ব্যবহার উন্মুক্ত ছিল। 1982 সালে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে উপযোগী ইন্টারনেট প্রটোকল টিসিপি/আইপি উদ্ভাবনের সাথে ইন্টারনেট শব্দটি চালু হয়। 

ইন্টারনেট হতে তথ্য আহরন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য ব্যবহারকারী কম্পিউটারের সাথে সার্ভার কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপন করাকে ইন্টারনেট সংযোগ করা বুঝায়। দুই ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ হতে পারে। যথাঃ- 
1. অনলাইন (Online)
2.অফলাইন (Offline)


ইন্টারনেটের সাথে সার্বক্ষণিক সংযুক্ত থাকার বিষয়কে অনলাইন সংযোগ বলা হয়। সাধারণত আইসপি সহ বড় বড় কোম্পানি এরুপ সংযোগ ব্যবহার করে থাকে। এ প্রক্রিয়া অত্যন্ত ব্যয়হুল বিধায় সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা নয়। নিকটবর্তী কোনো আইএসপি’র সদস্য হয়ে তাদের সার্ভার কম্পিউটার শেয়ার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করার বিষয়কে অফলাইন সংযোগ বলা হয়। এতে ব্যবহারকারী তার সকল তথ্য আইএসপি’র সার্ভারে সংযোগ স্থাপন করে প্রেরন করেন এবং গ্রহন করেন। সাধারণ ব্যবহারকারীগণ অফলাইন ইন্টারনেট এর সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন্ অফলাইন ব্যবস্থায় ইন্টারনেট সংযোগের জন্য মডেমসহ একটি পার্সোনাল কম্পিউটার , টেলিফোন সংযোগ, প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার এবং আইএসপি কর্তৃক প্রদত্ত একটি ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দরকার।